শক্তি সংরক্ষণে নয়া মোড়। ম্যাসাচুসেটস ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি-র বিজ্ঞানীরা বানালেন নতুন প্রযুক্তির ব্যাটারি। এটি চলবে সালফার, বাতাস, জল আর নুনের দ্বারা। ব্যাটারিটি উৎপাদন করতে যে খরচ তা বাজারচালু ব্যাটারির উৎপাদনমূল্যের ১০০ ভাগের ১ ভাগ। সমাজের চাহিদা পূরণের পথে এটি একটি জরুরি পদক্ষেপ, জানিয়েছেন ইয়েট-মিং শিয়াং (ডিপার্টমেন্ট অব মেটিরিয়ালস সায়েন্স অ্যান্ড এঞ্জিনিয়ারিং, এম-আই-টি)। ‘উপস্থিত আবিষ্কার আমাদের সঠিক পথেই নিয়ে যাবে এবং শক্তি সংরক্ষণের বিষয়ে আরো উৎসাহ জোগাবে’- বলছেন তিনি।
এতদিন শিয়াং ও তাঁর সহকর্মীরা যেমন আশাবাদী ছিলেন সালফারের সম্ভাবনা নিয়ে, অন্য উপাদানগুলিকেও তাঁরা খতিয়ে দেখেছিলেন। সালফার, আমরা জানি, একটি অধাতু এবং এটি স্টোরেজ ব্যাটারি তৈরীর কাজে লাগে। ব্যাটারি- তা যেমনই হোক না কেন- সবসময়েই তৈরী হয় একটি পজিটিভ অ্যানোড ও একটি নেগেটিভ ক্যাথোডের সমন্বয়ে। আর থাকে ইলেকট্রোলাইট- আধান বা চার্জ বহনের কাজে। সালফারকে ক্যাথোড হিসেবে ব্যবহার করা যায় কিনা, গবেষক দলটি খতিয়ে দেখতে চেয়েছিল। পাশাপাশি, জলকে ইলেক্ট্রোলাইট হিসেবে কাজে লাগানোও ছিল তাদের উদ্দেশ্য। ‘একই সাথে আমরা পজিটিভ ইলেক্ট্রোডের খোঁজ করছিলাম যা ভীষণই কম দামে তৈরী করা যাবে। এরই মধ্যে ল্যাবরেটরিতে একটি আকস্মিক আবিষ্কার ঘটে যায়। আমরা দেখি, এটা তো অক্সিজেনও হতে পারে- হতে পারে বাতাস! আমাদের দরকার পড়েছিল আরেকটি উপাদানের যা আধানের কাজ করবে। আমরা এক্ষেত্রে সোডিয়ামকে নির্বাচন করি।’
ব্যাটারিটি তৈরীতে রাসায়নিক খরচ পড়েছে প্রতি কিলোওয়াট-ঘন্টায় ১ ডলার।
গবেষকরা চাইছেন স্টোরেজ ব্যাটারিগুলিকে আরো কর্মক্ষম করে তুলতে- ব্যাটারি প্রযুক্তির খরচ আরো কমিয়ে আনতে। ব্যাটারির আয়ু বাড়িয়ে তোলাও তাঁদের একটি লক্ষ। সাধারণত ব্যাটারির আয়ু থাকে ১৫০০ ঘণ্টা। এই সময়সীমা বাড়িয়ে কি ৫ থেকে ২০ বছর করা যেতে পারে? গবেষকরা খতিয়ে দেখছেন বিষয়টি।
তথ্যসূত্র : সেল প্রেস
Add Comments